সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ

 সাজেক ভ্যালি

দেশের মধ্যে অপরূপ একটি জায়গা।সাজেক শব্দটি মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মেঘময় এক পৃথিবীর ছবি। এখানে ক্ষণে ক্ষণে প্রকৃতি তার রূপ বদলায়। কখনো তীব্র শীত আবার মুহূর্তেই বৃষ্টি। চোখের পলকেই চারপাশ ঘোমটা টানে সাদাকালো মেঘে। এ যেন মেঘের উপত্যকা, মেঘেদের রাজ্য আর নিজেকে মনে হয় মেঘের রাজ্যের বাসিন্দা। হয়তো মনের অজান্তেই খুঁজতে থাকবেন সাদা মেঘের পরি অথবা মেঘের মধ্যে পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় চড়ে ছুটে চলা রাজপুত্রকে।

সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া কংলাক পাহাড়। চূড়ায় উঠতে উঠতে দেখতে পাবেন মিজোরাম সীমান্তের পাহাড় আর সবুজের মিতালি। কংলাকের চূড়ায় উঠে চারপাশে তাকালে সত্যি সত্যি ভুলে যাবেন, আপনি ছিলেন কোনো যান্ত্রিক নগরে দূষিত বাতাস, শব্দ এবং কর্কট সমাজে জন্ম নেওয়া মানুষ। আপনার মন, প্রাণ, দেহ পুলকিত হবে এক বিশুদ্ধ চিন্তা এবং অনুভূতিতে। সূর্যোদয় ও অস্ত দেখার সুখানুভূতি সারাজীবন মনে রাখবেন। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে অকবিও হয়ে ওঠেন কবি, অপ্রেমিকও হয়ে ওঠেন প্রেমিক, একজন সচেতনও অবচেতনে হয়ে ওঠেন উন্মাতাল। একজন বৃদ্ধও সবুজের সুরা পান করে হয়ে ওঠেন তেজোদীপ্ত তরুণ।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর এবং জনপ্রিয় স্থান সাজেক ভ্যালি। বাংলাদেশের বৃহত্তম ইউনিয়নটি রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এ ইউনিয়ন ভারতের ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্তবর্তী এলাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১৮০০ ফুট। অবস্থান রাঙ্গামটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ি থেকে এখানে যাতায়াত অনেক সুবিধাজনক। কারণ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। তাই ভ্রমণপিপাসুরা দীঘিনালা থেকেই সাজেক যেতে বেশি পছন্দ করেন। সময়-সুযোগ পেলে ঘুরে আসতে পারেন এ নৈসর্গিক উপত্যকায়। তবে সাজেক প্রকৃতির আসল রূপ দেখার জন্য সেরা সময় হচ্ছে বর্ষাকালের শেষদিকে এবং শীতকাল।



যেভাবে যাবেন সাজেক ভ্যালি :

 ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি রুটে বিভিন্ন পরিবহনের বাস চলাচল করে। গাবতলী, কলাবাগানসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে পরিবহনগুলোর কাউন্টার। ঢাকা থেকে বাস ছেড়ে চট্টগ্রাম রোড হয়ে কুমিল্লা, ফেনী পার হয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই হয়ে খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছায়। এতে সময় লাগে ৮ ঘণ্টার মতো।খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে হবে খোলা জিপে, যা চান্দের গাড়ি নামেই পরিচিত। দুদিনের জন্য ভাড়া করলে আপনাকে গুনতে হবে ৬ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা। চান্দের গাড়িতে আসন সংখ্যা ১২টি। সাজেক যেতে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে দীঘিনালা। দীঘিনালা নেমে আধা ঘণ্টার জন্য ঘুরে আসতে পারেন হাজাছড়া ঝরনা থেকে। সাথে সেরে নিতে পারেন গোসলটাও। কারণ সাজেকে পানির খুব অভাব। তবে চিন্তার কিছু নেই, গোসল ও অন্যান্য কাজের জন্য দরকারি পানি প্রতিদিন ট্রাকে করে পৌঁছে যায় সাজেকে।

 খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালার দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। দীঘিনালায় একটি সেনানিবাস রয়েছে। এরপর বাকি রাস্তা আপনাকে যেতে হবে সামরিক বাহিনীর এসকোর্টে। সম্প্রতি পাহাড়ে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী এ পদক্ষেপ নিয়েছে। দীঘিনালা থেকে সেনাবাহিনীর এসকোর্ট শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। তাই ওই সময়ের আগেই আপনাকে পৌঁছতে হবে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালায়। নইলে একবার সকালের এসকোর্ট মিস করলে আবার এসকোর্ট পেতে অপেক্ষা করতে হবে বিকেল অবধি।দীঘিনালা থেকে প্রথমে যেতে বাগাইহাট, তারপর মাচালং হাট হয়ে সরাসরি পৌঁছে যাবেন সাজেক। খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাজেক যেতে মোট সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা ধরে চলা এ ছোট জার্নিটি সাজেক ট্যুরের অন্যতম আকর্ষণ। চারদিকে শুধু পাহাড় আর হরিতের সমারোহ আপনাকে ভুলিয়ে দেবে পথের ক্লান্তি।


সাজেক ভ্যালি যেভাবে ঘুরবেন  : 

সাজেক পৌঁছে খাওয়া-দাওয়া করার পর দীর্ঘ যাত্রার শেষে আপনাকে একটু বিশ্রাম নিতেই হবে। এ ছাড়া সাজেকের কাঠফাঁটা দুপুরের রোদে না ঘোরাঘুরি করে রোদ পড়ার জন্য অপেক্ষা করাই ভালো। বিকেলে জিপে করে আপনি ঘুরে আসতে পারেন সাজেক ভ্যালির আরও ভেতরে। সেখানে একটু উঁচু টিলায় উঠলেই উপভোগ করতে পারবেন সূর্যাস্ত। সাজেকের সন্ধ্যা নামে অপরূপ এক সৌন্দর্য নিয়ে। দেখবেন মেঘমুক্ত নীলাকাশ একটু একটু করে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে আর মিটিমিটি করে জ্বলে উঠছে একটি দুটি করে তারা। দেখবেন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে একটি-দুটি থেকে সহস্র তারা চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠবে। হয়তো আপনি এরকম তারাভরা আকাশ জীবনেও দেখেননি।

সন্ধ্যার তারাভরা আকাশ দেখতে দেখতে মৃদুমন্দ হাওয়ায় চায়ের কাপে চুমুক দিলে আপনার হৃদয়ে যে অনুভূতি আসবে, সেটাই হতে পারে আপনার সাজেক ভ্রমণের সবচেয়ে বড় আনন্দ। যারা তারা দেখতে ভালোবাসেন; তাদের জন্য সাজেক খুবই আদর্শ একটি জায়গা। এমনকি যারা এখনও মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ দেখেননি; তারাও সাজেক ভ্যালিতে এসে জীবনে প্রথমবারের মতো দেখা পেতে পারেন মহাবিশ্বে আমাদের আশ্রয়স্থল আকাশগঙ্গার।

ভোরে সূর্যোদয় দেখতে চাইলে হ্যালিপ্যাডে চলে যাবেন অবশ্যই। সে জন্য উঠতে হবে খুব ভোরে আর চলে যেতে হবে এক বা দুই নম্বর হ্যালিপ্যাডে। সাজেকে সূর্যোদয়ের সময় সোনালি আভা সাদা মেঘের ওপর যখন ঠিকরে পড়ে; তখন অসাধারণ এক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

আর যা দেখবেন: খাগড়াছড়ি জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝরনা, দেবতার পুকুর, হর্টিকালচার পার্ক, তৈদুছড়া ঝরনা, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, মায়াবিনী লেক ও শান্তিপুর অরণ্য কুঠির। সাজেকের পাশাপাশি এসব জায়গাও ঘুরে দেখতে পারবেন।

মনে রাখা দরকার সাজেকে রবি এবং এয়ারটেল ছাড়া আর কোনো ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। 


সাজেকের ভ্যালি রিসোর্ট ও কটেজ এর ফোন নাম্বারঃ 

সাজেক ভ্যালিতে থাকার জন্য ছোট বড় প্রায় ১০০টি রিসোর্ট রয়েছে। সাজেক ভ্যালি রিসোর্ট সমূহে থাকার জন্য জনপ্রতি সর্বনিন্ম খরচ হয় ৪শ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। শুক্রবার বা ছুটির দিন এর সাথে অন্যান্য দিনের রুম ভড়ায় পার্থক্য থাকে। ভালো রিসোর্টগুলো সাধারণত  সপ্তাহে ৭ দিনই ফুল বুক থাকে। তাই ভালো রিসোর্টে থাকতে চাইলে আগে থেকে রুম বুকিং দিয়ে যাওয়াই ভালো। সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ গুলো নিয়ে আজকের রিভিউ।


রিসোর্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রিসোর্টের কোয়ালিটি ও রিসোর্টের অবস্থানকে প্রাধান্য দিবেন। ভিউ খুব একটা ইমপর্টেন্ট না। কারণ সব রিসোর্ট থেকেই কমবেশি ভিউ পাওয়া যায়। রিসোর্ট থেকে বের হলে ভিউতো আছেই। অনেক সময় এরকম দেখা যায় রিসোর্টের ভিউ ভালো, কিন্তু কোয়ালিটির কারণে ওয়াশরুমে ঢোকা যাচ্ছেনা। কিংবা বিছানা ও রুম এতটাই নোংরা, যে থাকার অনুপযোগী। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রিসোর্টের অবস্থান। কিছু রিসোর্ট আছে সাজেকের বাইরে। আবার কিছু রিসোর্ট এমন একটা অবস্থানে যেখান থেকে মূল পয়েন্টে আসতে অনেক বেশি সময় নষ্ট হবে। তাই এই আর্টিকেলে আমরা রিসোর্টের কোয়ালিটি, অবস্থান এবং ভিউ এর সমন্বয় রাখার চেষ্টা করেছি।

সাজেক রিসোর্ট:

এই রিসোর্টটি বাংলাদেশ আর্মি কর্তৃক পরিচালিত। রুম ভেদে এসি ও নন এসি রুমের ভাড়া পড়বে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো। সাজেক রিসোর্টের রয়েছে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট। সেনাবাহিনী বা প্রথম সারির সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য এখানে ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছে। সাজেক রিসোর্টে রুম ভাড়া নেওয়ার জন্য আর্মির রেফারেন্স লাগে। রুম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন 01859-025694, 01847-070395 অথবা 01769-302370 নাম্বারে।

রুন্ময় রিসোর্ট (Runmoy Resort) :

 এটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দ্বারা পরিচালিত রিসোর্ট। এই রিসোর্টের মোট ৫ টি রুম আছে। প্রতিটি রুমে সর্বোচ্চ ২ জন থাকার ব্যবস্থা আছে। ৬০০ টাকা বাড়তি পরিশোধ করলে রুমে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়। নিচতলার রুম ভাড়া ৪৪৫০ টাকা, উপরের তলার রুম ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। বুকিংয়ের জন্য ফোন করতে পারেন 0186547688 নাম্বারে।

মেঘ মাচাং (Megh Machang): 

ব্র্যান্ডিং বিবেচনায় এটি সাজেকের অন্যতম একটি রিসোর্ট। এর ভিউ সাজেকের অন্যতম সেরা। মেঘ মাচাংয়ের রুম রয়েছে ৫টি। এখানে রুম বুকিং দেওয়ার জন্য অনেক আগে থেকে ফোন করতে হয়। রুম ভাড়া ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে।এখানে রুম বুকিংয়ের সময় জয়যাত্রা ট্রাভেল এর রেফারেন্স দিলে বিশেষ ডিস্কাউন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন 01822-168877 নাম্বারে।

মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট: 

সাজেকের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট। এর অবস্থান সাজেক ভ্যালির মাঝামাঝিতে। এই রিসোর্টে রয়েছে ৪টি রুম। রুম ভাড়া পড়বে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা।এখানে রুম বুকিংয়ের সময় জয়যাত্রা ট্রাভেল এর রেফারেন্স দিলে বিশেষ ডিস্কাউন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে। বুকিং নাম্বার 01884-208060

জুমঘর রিসোর্ট: 

এটি সাজেকের আরেকটি ভালো রিসোর্ট। এর অবস্থান সাজেক ভ্যালির চার্চের কাছাকাছি। জুমঘর রিসোর্ট এর রুম ভাড়া পড়বে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।এখানে রুম বুকিংয়ের সময় জয়যাত্রা ট্রাভেল এর রেফারেন্স দিলে বিশেষ ডিস্কাউন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন 01884-208060 নাম্বারে।

মেঘের ঘর রিসোর্ট:

 কম খরচে থাকার জন্য এটি সাজেকের আরেকটি ভালো রিসোর্ট। ৬টি রুম রয়েছে এই রিসোর্টে। এখানে রুম ভাড়া পড়বে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। এখানে রুম বুকিংয়ের সময় জয়যাত্রা ট্রাভেল এর রেফারেন্স দিলে বিশেষ ডিস্কাউন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে।  রুম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন 01867223355 নাম্বারে।

ম্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট: 

লোকেশন ও ভিউ বিবেচনায় সাজেক এর ভালো একটি রিসোর্ট। এর অবস্থান আর্মি নিয়ন্ত্রণাধীন সাজেক রিসোর্ট এর উল্টোপাশে।  এখানে রুম ভাড়া পড়বে ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মতো। এখানে রুম বুকিংয়ের সময় জয়যাত্রা ট্রাভেল এর রেফারেন্স দিলে বিশেষ ডিস্কাউন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে। ফোন নাম্বার +8801885424242

হাফং তং: 

এটিও বাজেটের মধ্যে ভালো একটি রিসোর্ট। এই রিসোর্টে ৫টি রুম রয়েছে। রুম ভাড়া পড়বে। ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করুন 01875-999678 নাম্বারে।

আলো রিসোর্ট:  

আলো রিসোর্ট সাজেক ভ্যালি কটেজ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন। এটি সাজেক এর প্রথম কটেজ। কম খরচে থাকার জন্য এটি একটি ভালো রিসোর্ট। কোনো ভিউ নাই। এই রিসোর্টে রুম রয়েছে ৬টি। রুম ভাড়া পড়বে প্রতিরাতের জন্য ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা।এখানে রুম বুকিংয়ের সময় জয়যাত্রা ট্রাভেল এর রেফারেন্স দিলে বিশেষ ডিস্কাউন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে। বুকিং দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন 01841-000645 নাম্বারে।

লুসাই কটেজ (TGB Lushai Cottage): 

কাপল ডাবল সব রকম রুম আছে এই রিসোর্টে। মধ্যম মানের ভালো একটি রিসোর্ট। রুম ভাড়া পড়বে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মতো। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন 01634-198005 নাম্বারে।

সাম্পারি রিসোর্ট: 

খোলামেলা পরিবেশ এর জন্য এই রিসোর্ট এর সুনাম আছে। রিসোর্টের ভিউ ভালো। এটি পাহাড়ী আদিবাসী মালিকানাধীন একটি রিসোর্ট।এর রুম ভাড়া ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। ফোন নাম্বার 01849889055

সালকা রিসোর্ট: 

পাহাড়ি মালিকানায় পরিচালিত সালকা কটেজ আরেকটি ভালো রিসোর্ট। এখানে ৪টি রুম আছে। রুম ভাড়া পড়োবে ২৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফোন নাম্বার +8801847356781

পাহাড়িকা রিসোর্ট: 

কম বাজেটের মধ্যে এটি আরেকটি ভালো রিসোর্ট। স্টুডেন্ট বাজেট ট্রাভেলাররা এই রিসোর্টে কম খরচে থাকতে পারেন।পাহাড়িকা রিসোর্টে ১২টির মতো রুম রয়েছে। রুম ভাড়া পড়বে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এর বেশি চাইলে না নেওয়াই ভালো। এখানে রুম বুকিংয়ের সময় জয়যাত্রা ট্রাভেল এর রেফারেন্স দিলে বিশেষ ডিস্কাউন্ট সুবিধা পাওয়া যাবে।বুকিং নাম্বার 01724-658766, 01871-771777

হিল কটেজ: 

পাহাড়ী অদিবাসী দ্বারা পরিচালিত একটি কটেজ। এই কটেজ এর রুম ভিউ নেই। স্টুডেন্টদের জন্য ভালো কটেজ। রুম ভাড়া পড়বে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ফোন নাম্বার 01862019461

রক প্যারাডাইস:

 যারা কংলাক পাড়ার উপরে রাত্রি যাপন করতে চান তারা বেছে নিতে পারেন রক প্যারাডাইস কটেজ। তবে মনে রাখা দরকার এটি সাজেক ভ্যালির বাইরে আলাদা একটি পাড়ায়। নিরিবিলিতে থাকার জন্য ভালো রিসোর্ট। ফোন নাম্বার +8801855470477

আদিবাসী ঘর: 

আপনি ব্যাকপ্যাকার হলে কম খরচে আদিবাসীদের ঘরে থাকতে পারেন। জনপ্রতি ২০০ – ৪০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। ফ্যামিলি নিয়ে থাকার জন্য আদিবাসী ঘর ভালো চয়েস হবেনা। তবে বন্ধু বান্ধব মিলে চাইলে থাকা যায়। পরিবার নিয়ে গেলে সাজেক ভ্যালি রিসোর্ট Sajek Valley Resort গুলোতে থাকা উচিত।


যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

• সঠিক সময়ে এসকোর্ট দেওয়া।

• সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ছবি তোলা যাবে না।

• স্থানীয় লোকজনের ছবি তোলার আগে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে নেবেন।

• ছুটির দিনে কটেজ পাওয়ার ঝামেলা এড়াতে বেশ কয়েক দিন আগে (এক মাস) বুকিং দিন।

• রবি, এয়ারটেল বা টেলিটক সিম সঙ্গে নিন।

• সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র রাখুন।

• সঙ্গে করে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যান।

• জিপের ছাদে বা মোটরসাইকেলে সতর্ক থাকুন।

• দুই-তিন দিনের জন্য সাজেক গেলে চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করার দরকার নেই।

• শুধু যাওয়ার জন্যই গাড়ি নিন। আসার সময় অন্য গাড়িতে আসুন।

• দীঘিনালা থেকে ফোন করেও গাড়ি নেওয়া যাবে।

এছাড়াও সাজেক ভ্যালির কর্পোরেট,ফ্যামিলি অথবা গ্রুপ ট্যুরের জন্য জয়যাত্রা ট্রাভেল গ্রুপের  সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগ নাম্বারঃ ০১৭৩৮৬০১৯০৯/০১৯৫৪৪২৫৭৫৬


বিঃদ্রঃ কোথাও ঘুরতে গেলে খেয়াল রাখবেন আপনার দ্বারা বা আপনার সাথে যারা যাবে তাদের দ্বারা উক্ত স্থানের কোন ধরণের যেন ক্ষতি না হয়, যে কোন ধরণের উচ্ছিষ্ট (প্যাকেট/বোতল) যেখানে যেখানে না ফেলে সাথে করে নিয়ে আসবেন ।
   সাজেক ভ্যালি 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন